রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭
চিঠি আছে
আনোয়ার আলি শেখ
পশ্চিম আকাশে চিকচিকে
রোদ সরিয়ে আঁধার আসে
নৃত্য পটিয়সীর ছন্দে
একটা ল্যাংড়া হাতের প্রতিচ্ছবি
এককুচি পৃথগন্ন চাঁদ
একফালি চাঁদ মানুষের
সংগ্রামের বেয়নেট
বেঁচে থাকার গান
একথালা ধবধবে ভাত...
... ... ... ... ... ...
... ... শেষ বেলায়
রাজভবনের পোস্টম্যান বলছে
বেলা শেষের চিঠি আছে
অপেক্ষা
আনোয়ার আলি শেখ
কবে ফণি চাচা দখিন খাটতে গেছে
আজও ফেরেনি ।
যাবার সময় বলে গিয়েছিল, দখিন সেরে যা জুটবে তা-ই
দিয়ে সোমত্ত মেয়েটার বিয়ে দেবে
কারবালার দিন । দুপুরের মাতম্...
সবাই বাঁধভাঙা উল্লাস করছে
মিনু চাচী ... চাচার প্রতীক্ষায় দরজায় মাইলস্টোন
হয়ে দাঁড়িয়ে !
বুকফাটা কান্নায় ভেসে যাচ্ছে আইবুড়ো মেয়ের বুক !!
নয়নমণি
আনোয়ার আলি শেখ
মাটির গন্ধে সুর ধ্বনি
ভালোবাসার দোয়া
মা যে সবার নয়নমণি
স্নেহ-রোদের ছোঁয়া।
ফুলের ভাষা খুঁজছি চোখে
মমতায় ঢাকা বুক
পাঁজর ফাটে; বেদনা,শোকে...
লজ্জাবনত মুখ।
একটা পৃথিবী সঞ্জীবনী
জীবনের রক্ষাগুরু
মা যে সবার নয়নমণি
সোনালি দিনের শুরু...
লতাপাতার আদর হাসে
জলে ভাসায় দুথ
স্বপ্ন ওড়ায় নীল আকাশে
মুঠো মুঠো কচি সুখ...
মহরমের স্বাদ
আনোয়ার আলি শেখ
যুদ্ধ যুদ্ধই
যুদ্ধের সংজ্ঞা বদল হয় না
মৃত্যু মিছিলের গতিপথ...
ভগ্নাংশ পৃথিবীর হর বরাবর ধার্মিক হরতাল।
হিংসুটে তরবারি। আজও তার কামড়ের নীরব উপাখ্যান । নীল স্বাদ।
রাতজাগা পাখির মতো জেগে ওঠে চিরজীবী ধর্মযুদ্ধের অভিজ্ঞ ছবি।
একটা গোটা দুপুর ক্ষয়ে যেমন বিকেলের চক্ষুদান হয় তেমনি বিপরীতক্রমে সংখ্যাহীন মূলদ জীবন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে
কারবালার দিন। নিখুঁত যোজ্যতা ও আধানে ফোটে দুই ইমামের শরীরী প্রবাহ ...
কাল বিকেলে যা ঘটেছিল
(অজানা দুজনের কথোপকথন)
আনোয়ার আলি শেখ
- এটা আপনার ছোট ভাই
- কি বললেন , ছোট ভাই...
- ও আমার ছেলে
- না, প্রথম সন্তান মেয়ে হলে পরের সন্তান মেয়ের ভয়ে মাঝের দূরত্ব ইদানিং বেড়েই চলেছে
- মোটেই না
- বেশ, তাহলে এমন পোশাক পরুন যেন মা মা লাগে
-কেন? পোশাকে খারাপের কি দেখলেন
- মা-ছেলে ...দিদি ভাই লাগছে তো
- আপনি সাংঘাতিক -
(বলে থেমে গেলেন)
- তাই! মুরগি ছা ছেড়ে দিলে মায়ে-ছায়ে সম্পর্ক থাকে না।মনে মাতৃভক্তি জেগে উঠছে কই !
-জ্ঞান দিচ্ছেন
- না, মা-ছেলের টানাপোড়েনে সম্পর্কের টানাটানি ক্রমশ বাড়ছে...বলতে হচ্ছে
'ও আমার ছেলে'
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)